লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি , আটক বিক্রেতা : উদ্ধার একাধিক ফর্ম

12th August 2021 8:52 pm বাঁকুড়া
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি , আটক বিক্রেতা : উদ্ধার একাধিক ফর্ম


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ভুয়ো আই এস , আইপিএস ,  ভুয়ো আর্মির পর এবার লক্ষীর ভান্ডারের ভূয়ো ফর্ম বিক্রি করার অপরাধে একজনকে আটক করল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ । 

লক্ষীর ভান্ডারের ভূয়ো ফর্ম বিক্রি করার অপরাধে একজনকে আটক করল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ । বৃহস্পতিবার এই ঘটনা সামনে আসতেই বিষ্ণুপুর শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য । রাজ্য সরকার রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন । ইতিমধ্যেই সেই লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন ক্যাফ সেন্টার গুলিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে । তবে সরকারিভাবে এখনো লক্ষীর ভান্ডারের কোন ফর্ম বাজারে আসেনি আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিষ্ণুপুর মহকুমা এসডিও অনুপ কুমার দত্ত । বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর পৌর শহরের পোকাবাঁধ পার এলাকায় এক অনলাইন ক্যাফে সেন্টার মালিক ভূয়ো লক্ষীর ভান্ডারের ফর্ম বিক্রি করছিল । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে এবং তার কাছ থেকে ছটি ফর্ম উদ্ধার করে

এ বিষয়ে বিষ্ণুপুর মহকুমা এসডিও অনুপ কুমার দত্ত আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান , সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডারের কোন ফর্ম বাজারে ছাড়া হয়নি । দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে একমাত্র এই ফর্ম পাবেন সাধারন মানুষরা ।

বিষ্ণুপুর এসডিপিও কুতুব উদ্দিন খান ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন এবং তিনি আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।